পর্যায় সারণীঃ
অদ্যবধি আবিষ্কৃত মৌলসমূহকে তাদের ধর্মাবলীর উপর ভিত্তি করে এবং সাদৃশ্যপূর্ণ ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করে একটি যে সারণী তৈরি করা হয়েছে তাকে পর্যায় সারণী নামে অভিহিত করা হয়। সংযোজিত তথ্য, বিন্যাস ও জটিলতার ভিত্তিতে এর বেশ কয়েকটি রূপ রয়েছে- সর্বাধুনিক পর্যায় সারণী ১৯৮৯ সালে ইউপ্যাকের সিদ্ধান্তক্রমে মৌলের সর্ববহিঃস্থস্তরের ইলেক্ট্রন সংখ্যা অনুযায়ী মৌলের শ্রেণীসংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। আর এভাবেই সর্বাধুনিক পর্যায় সারণীর পত্তন ঘটে। এতে মোট ১৮টি শ্রেণী এবং ৭টি পর্যায় রয়েছে। এতে পর্যায়সমূহকে ইংরেজি 1,2,3,4,5,6,7 সংখ্যা দ্বারা এবং শ্রেণীসমূহকে রোমান হরফের বদলে ইংরেজি 1,2,3,4,5,6,7,8,9,10,11,12,13,14,15,16,17,18 সংখ্যাগুলো দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইলেক্ট্রন বিন্যাসের তিনটি নিয়ম:
আমি এক্ষেত্রে ইলেক্ট্রন বিন্যাস কে তিনটি নিয়ম এ বিভক্ত করেছি।
১ম নিয়ম:
সাধারণ ভাবে চক্রটি হল
1s2
2s2 2p6
3s2 3p6 3d10
4s2 4p6 4d10 4f14
এভাবে ক্রমান্বয়ে চলমান
এখানে
s এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -২ টি
p এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -৬ টি
d এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -১০ টি
f এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -১৪ টি
যেমন, Na(11) - 1s2 2s2 2p6 3s1
২য় নিয়ম :
আউফবাউ নিতী অনুসারে আমরা পাই
যেমনঃ পটাশিয়াম k(19) - 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s1
এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হল ইলেক্ট্রন কেন 3d তে না গিয়ে 4s এ যায়??
শক্তিস্তর ধারণা - এখানে আমি নিজস্ব একটা সহজ ট্রিক্স বের করলাম।
এখানে, s=0, p=1, d=2, f=3 এবার ধরুন 3d,
এখানে, n=3, এবং d=2 তাই শক্তি n+l=5
আবার, 4s, এখানে, n=4, এবং s=0 তাই শক্তি n+l=4
আউফবাউ নিতী অনুসারে ইলেক্ট্রন আগে নিচের শক্তিস্তর পুরণ করে তাই ইলেক্ট্রন 4s পূরণ করে 3d তে যাই। তাই ইলেক্ট্রন 3d এর আগে 4s এ প্রবেশ করেছে।
৩য় নিয়ম ঃ
ইলেক্ট্রন সম্পূর্ণ বা অর্ধপূর্ন হলে অনেক সুস্থিত হয়। যেমন - s- ২ টি অথবা ১ টি p- ৬টি অথবা ৩ টি d- ১০ টি অথবা ৫ টি f- ১৪ টি অথবা ৭ টি হলে সুস্থিত হয়।
যেমন - ক্রোমিয়াম Cr - 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s2 3d4 কিন্তু এই ইলেক্ট্রন বিন্যাস সঠিক নয়।
Cr - 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s1 3d5
এর কারণ 4s একটা ইলেক্ট্রন দান করলে, 3d সেটা নিয়ে নেই ফলে 4s ও 3d উভয় অর্ধপূর্ণ হয়ে স্থিতিপূর্ণ হয়। শক্তিস্তর ও অরবিটাল অরবিটাল - অরবিটাল হচ্ছে ইলেকট্রন মেঘ যেখানে ৯০-৯৫% ইলেক্ট্রন থাকে।
অরবিটাল প্রকারভেদ:
অরবিটাল প্রকারভেদ ৪ টি s p d f
s অরবিটাল - n=1, l= 0, m =O, তাই অরবিটাল এর আকৃতি ও এক। গোলাকার।
p অরবিটাল -n=2, l= 0,1 , m =-1, 0, 1 তাই আকৃতি তিন অক্ষ বরাবর তিনটি। যথাক্রমে, Px, Py, Pz
d অরবিটাল - n=3, l=0,1,2 m=-3, -2, -1, 0, 1,2,3 তাই আকৃতি ও পাচটি কারণ m এর মান পাচঁ। যথা, dxy, dyz, dzx, d(x2-y2), dz2।
f অরবিটাল - n=4, l= 0,1,2,3 , m=-3,-2,-1,0,1,2,3 তাই আকৃতি হবে ৭ রকমের। f অরবিটাল এখনো জানা হয়নি।
এখানে, n হল প্রধান কোয়ান্টাম l হল সহকারী কোয়ান্টাম m হল চম্বুকীয় কোয়ান্টাম শক্তিস্তর ধারণা - এখানে আমি নিজস্ব একটা সহজ ট্রিক্স বের করলাম। s=0, p=1, d=2, f=3 এবার ধরুন 3d, এখানে, n=3, এবং d=2 তাই শক্তি n+l=5 আবার, 4s, এখানে, n=4, এবং s=0 তাই শক্তি n+l=4 আউফবাউ নিতী অনুসারে ইলেক্ট্রন আগে নিচের শক্তিস্তর পুরণ করে তাই ইলেক্ট্রন 4s পূরণ করে 3d তে যাই।
অদ্যবধি আবিষ্কৃত মৌলসমূহকে তাদের ধর্মাবলীর উপর ভিত্তি করে এবং সাদৃশ্যপূর্ণ ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করে একটি যে সারণী তৈরি করা হয়েছে তাকে পর্যায় সারণী নামে অভিহিত করা হয়। সংযোজিত তথ্য, বিন্যাস ও জটিলতার ভিত্তিতে এর বেশ কয়েকটি রূপ রয়েছে- সর্বাধুনিক পর্যায় সারণী ১৯৮৯ সালে ইউপ্যাকের সিদ্ধান্তক্রমে মৌলের সর্ববহিঃস্থস্তরের ইলেক্ট্রন সংখ্যা অনুযায়ী মৌলের শ্রেণীসংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। আর এভাবেই সর্বাধুনিক পর্যায় সারণীর পত্তন ঘটে। এতে মোট ১৮টি শ্রেণী এবং ৭টি পর্যায় রয়েছে। এতে পর্যায়সমূহকে ইংরেজি 1,2,3,4,5,6,7 সংখ্যা দ্বারা এবং শ্রেণীসমূহকে রোমান হরফের বদলে ইংরেজি 1,2,3,4,5,6,7,8,9,10,11,12,13,14,15,16,17,18 সংখ্যাগুলো দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইলেক্ট্রন বিন্যাসের তিনটি নিয়ম:
আমি এক্ষেত্রে ইলেক্ট্রন বিন্যাস কে তিনটি নিয়ম এ বিভক্ত করেছি।
১ম নিয়ম:
সাধারণ ভাবে চক্রটি হল
1s2
2s2 2p6
3s2 3p6 3d10
4s2 4p6 4d10 4f14
এভাবে ক্রমান্বয়ে চলমান
এখানে
s এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -২ টি
p এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -৬ টি
d এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -১০ টি
f এ সর্বোচ্ছ ইলেক্ট্রন -১৪ টি
যেমন, Na(11) - 1s2 2s2 2p6 3s1
২য় নিয়ম :
আউফবাউ নিতী অনুসারে আমরা পাই
যেমনঃ পটাশিয়াম k(19) - 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s1
এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হল ইলেক্ট্রন কেন 3d তে না গিয়ে 4s এ যায়??
শক্তিস্তর ধারণা - এখানে আমি নিজস্ব একটা সহজ ট্রিক্স বের করলাম।
এখানে, s=0, p=1, d=2, f=3 এবার ধরুন 3d,
এখানে, n=3, এবং d=2 তাই শক্তি n+l=5
আবার, 4s, এখানে, n=4, এবং s=0 তাই শক্তি n+l=4
আউফবাউ নিতী অনুসারে ইলেক্ট্রন আগে নিচের শক্তিস্তর পুরণ করে তাই ইলেক্ট্রন 4s পূরণ করে 3d তে যাই। তাই ইলেক্ট্রন 3d এর আগে 4s এ প্রবেশ করেছে।
৩য় নিয়ম ঃ
ইলেক্ট্রন সম্পূর্ণ বা অর্ধপূর্ন হলে অনেক সুস্থিত হয়। যেমন - s- ২ টি অথবা ১ টি p- ৬টি অথবা ৩ টি d- ১০ টি অথবা ৫ টি f- ১৪ টি অথবা ৭ টি হলে সুস্থিত হয়।
যেমন - ক্রোমিয়াম Cr - 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s2 3d4 কিন্তু এই ইলেক্ট্রন বিন্যাস সঠিক নয়।
Cr - 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s1 3d5
এর কারণ 4s একটা ইলেক্ট্রন দান করলে, 3d সেটা নিয়ে নেই ফলে 4s ও 3d উভয় অর্ধপূর্ণ হয়ে স্থিতিপূর্ণ হয়। শক্তিস্তর ও অরবিটাল অরবিটাল - অরবিটাল হচ্ছে ইলেকট্রন মেঘ যেখানে ৯০-৯৫% ইলেক্ট্রন থাকে।
অরবিটাল প্রকারভেদ:
অরবিটাল প্রকারভেদ ৪ টি s p d f
s অরবিটাল - n=1, l= 0, m =O, তাই অরবিটাল এর আকৃতি ও এক। গোলাকার।
p অরবিটাল -n=2, l= 0,1 , m =-1, 0, 1 তাই আকৃতি তিন অক্ষ বরাবর তিনটি। যথাক্রমে, Px, Py, Pz
d অরবিটাল - n=3, l=0,1,2 m=-3, -2, -1, 0, 1,2,3 তাই আকৃতি ও পাচটি কারণ m এর মান পাচঁ। যথা, dxy, dyz, dzx, d(x2-y2), dz2।
f অরবিটাল - n=4, l= 0,1,2,3 , m=-3,-2,-1,0,1,2,3 তাই আকৃতি হবে ৭ রকমের। f অরবিটাল এখনো জানা হয়নি।
এখানে, n হল প্রধান কোয়ান্টাম l হল সহকারী কোয়ান্টাম m হল চম্বুকীয় কোয়ান্টাম শক্তিস্তর ধারণা - এখানে আমি নিজস্ব একটা সহজ ট্রিক্স বের করলাম। s=0, p=1, d=2, f=3 এবার ধরুন 3d, এখানে, n=3, এবং d=2 তাই শক্তি n+l=5 আবার, 4s, এখানে, n=4, এবং s=0 তাই শক্তি n+l=4 আউফবাউ নিতী অনুসারে ইলেক্ট্রন আগে নিচের শক্তিস্তর পুরণ করে তাই ইলেক্ট্রন 4s পূরণ করে 3d তে যাই।
Tags
academics